ঘর্ষণ সাধারণত চার প্রকারের হয়ে থাকে। যথা- ১. স্থিতি ঘর্ষণ (Static Friction): দুটি তল পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একের ওপর দিয়ে অপরটি চলতে চেষ্টা না করে, তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শ তলে এই গতির বিরুদ্ধে একটা বাধার উৎপত্তি হয়, এই বাধাকে স্থিতি ঘর্ষণ বলে। উদাহরণ: মাটিতে হাঁটা, গাড়ি চলানো, বই টেবিলের উপর রাখা। ২. গতি ঘর্ষণ বা বিসর্প- ঘর্ষণ (Kinetic Friction or Sliding Friction): দুটি তল পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একের ওপর দিয়ে অপরটি চলতে শুরু করে, তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শ তলে এই গতির বিরুদ্ধে একটা বাধার উৎপত্তি হয়, এই বাধাকে গতীয় ঘর্ষণ বলে। উদাহরণ: গাড়ি চলানো, বই টেবিলের উপর ঘষতে থাকা। ৩. আবর্ত ঘর্ষণ (Rolling Friction): একটি বস্তু অপর একটি তলের উপর দিয়ে গড়িয়ে গেলে যে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় তাকে আবর্ত ঘর্ষণ বলে। উদাহরণ: চাকা ঘোরা। ৪. প্রবাহী ঘর্ষণ (Fluid Friction): কোনো বস্তু কোনো তরলের মধ্য দিয়ে চলতে গেলে যে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় তাকে প্রবাহী ঘর্ষণ বলে। উদাহরণ: নৌকা চলাচল, বাতাসে উড়োজাহাজ চলাচল।
